বিজেপির ইশতেহারে যা আছে
অনলাইন ডেস্ক : ‘ফেরর একবার, মোদি সরকার’ এই স্লোগান নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে আজ সোমবার এই ইশতেহার প্রকাশ করা হলো।
‘সঙ্কল্পপত্র’ নাম দিয়ে একগুচ্ছ ‘আশার বাণী’ নিয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির হন। এ সময় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এবং দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৪৫ পৃষ্ঠার ইশতেহারে দেশের মানুষকে উন্নয়ন এবং সুশাসনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন মোদি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সঙ্কল্পপত্র আসলে একটা দেশের সুরক্ষাপত্র। এটা সম্মানপত্র ও দেশের উন্নয়নপত্র।
এ সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, জাতীয়তাবাদই আমাদের প্রেরণা। দেশের সুরক্ষা ও উন্নয়নই আমাদের মূল মন্ত্র। আমরা ৭৫টি বিষয়ে অঙ্গীকার করেছি। সেগুলো ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হবে। এই সঙ্কল্পপত্রের উদ্দেশ্য হলো, ২০৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছরে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা।
মোদি আরও বলেন, আমরা আলাদা পানি শক্তি মন্ত্রণালয় তৈরি করব। সবাই যাতে পানি পায়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যে বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করার কথা বলেছি। বিজেপির ইশতেহারে কৃষকদের সমস্যা সমাধান, নারী সংরক্ষণ, গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন, কর কাঠামোর পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়ন ও দেশের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। তবে ফের অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করা হবে রাম মন্দির। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই ধারা বলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছে।
একই সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জী সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করানো এবং তা কার্যকরী করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে ভারতকে। ২০২৫-এর মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০৩২-এর মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা হবে ভারতকে।
আজ ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বক্তব্য দেন।