বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জেএমবি সদস্য নিহত : তিন পুলিশ সদস্য আহত

downloadএস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির : বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের সিএন্ডবি বাজার এলাকায় পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে অজ্ঞাতনামা (৪৫) এক জেএমবি সদস্য নিহত হয়েছে। এসময়ে জেএমবি সদস্যদের ছোড়া হাত বোমায় তিন পুলিশ আহত হয়েছে। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় পুলিশ রাখাল গাছি থেকে জেএমবি সদস্যদের ফেলে যাওয়া ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ৩টি হাতবোমা ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়  জানান, শনিবার গভির রাতে রাখালগাছি সিএন্ডবি বাজার এলাকায় ১০/১৫ জন জেএমবি সদস্যরা সংঘবব্ধ হয়ে নাশকতার উদ্যেশে জড়ো হয়েছে এমন খবর পুলিশ পায়। এর পর বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল  ও ডিবি পুলিশের অপর একটি দল ওই রাতেই ঘঁটনাস্থলে পৌছায়।এসময়ে জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাত বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আতœরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এসময়ে অজ্ঞাতনামা(৪৫) এক জেএমবি সদস্যকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।জেএমবির অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটঁনাস্থল থেকে পুলিশ জেএমবি সদস্যদের ফেলে যাওয়া দুিিইট সুটার গান, ৩টি হাতবোমা ও ৫টি গুলি উদ্ধার করে। রাতে গুলিবিদ্ধ জেএমবি সদস্যকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া বোমায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সজীব বিশ^াস, মো. রুবেল ও টিপু সুলতান তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এই ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামের সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে চার জেমএমবি সদস্যকে এবং ৩ নভেম্বর ভোর রাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রীজের নিচে অভিযান চালিয়ে চারজনকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এম মনিরুজ্জামান জেএমবির এই গ্রুপটি বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ,পিরোজপুর ও যশোর জেলার একাংশের আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবী করেন।