শুক্রবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সানজিদার সহায়তায় ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করল শামীম! এরপর…

চট্টগ্রামে ৯ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকার শামীম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় সানজিদা চৌধুরী নামে এক নারীর বাসায় ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ধর্ষক শামীম ও তাকে সহায়তার অভিযোগে সানজিদা চৌধুরী নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার গত শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করার পর ধর্ষক ও ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ধর্ষক হলেন- মো: শামীম (২৯)। তার বাসা নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায়। আর এই কাজে সহায়তাকারী নারী সানজিদা চৌধুরীর (২২) বাসা পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী কলেজ রোডে সেলিম সাহেবের ভবনের পঞ্চম তলায়।

জানা যায়, নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর বাসা সানজিদা চৌধুরীর বাসার কাছাকাছি। ভূক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। মেয়েটির বাবা প্রবাসী। মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকে ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ জানান, সানজিদা এবং ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবার আগে একই ভবনে থাকত। তিন মাস আগে তারা অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়। ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সানজিদার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।

বৃহস্পতিবার সানজিদা বিয়ের দাওয়াতে যাবার কথা বলে ওই ছাত্রীর মাকে রাজি করিয়ে তাকে সঙ্গে নেয়। যাবার সময় পথে হঠাৎ অসুস্থবোধ করার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসে সানজিদা। এ সময় শামীমকে ফোন করে বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসার কথা বলে সে।

পরে শামীম রাত ১০টার দিকে বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসে। তিন জন মিলে খাওয়া-দাওয়া করে। এরপর যখন ওই ছাত্রী তার বাসায় ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন শামীম তাকে জোরপূর্বক অন্য একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আরেকটি কক্ষে সানজিদা ছিল। কিন্তু, শামীমকে এই কাজে কোনো রকম বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি সানজিদা।

তিনি আরও বলেন, সানজিদা ও শামীম পূর্ব পরিচিত। টাকার বিনিময়ে শামীমকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ধর্ষণের সুযোগ করে দেয় সানজিদা।

যদিও গ্রেফতারের পর সানজিদা প্রথমে বলেছিল, শামীম ধর্ষণের আগে তাকে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে শামীম পালিয়ে গেছে। আসলে সানজিদার এই বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। বলেন, সদীপ কুমার দাশ।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে- ধর্ষণের পর শামীম ও সানজিদা মিলে তাকে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি তাকে সারারাত ওই বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাসায় ফিরে ওই স্কুল ছাত্রী।

ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে তার মায়ের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে পরে আত্মীয়-স্বজনদের আলোচনা করে শনিবার রাতে মেয়েটি তার মাকে নিয়ে থানায় যায়। অভিযোগের পর সহায়তার জন্য সানজিদাকে তার বাসা থেকে এবং অভিযুক্ত শামীমকে নগরীর ঝাউতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ওসি সদীপ কুমার দাশ।

ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গ্রেফতার দু’জনকে সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আদালতে হাজিরের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র- বিডি২৪লাইভ