বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

প্রেমের মাত্র সাত দিনের মাথায় দৈহিক টানে একটি বাসায় দুজনে, অতঃপর…….!

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে লেখা একটি কাল্পনিক গল্প। ছেলেটির নাম ইমন। মেয়েটির নাম সাবরিনা। তারা প্রেমের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় নিজেদের দৈহিক চাহিদা মেটাতে একটি রেস্টুরেন্টে!

ইমন খুব ভালোবাসে সাবরিনাকে। মেয়েটিও তাকে ভালোবাসে, এমনই ভাবনা ইমনের। পরিচয় হতেই যতটা সময় লাগলো। এরপর ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসার গভীরতা প্রতিদিনই বেড়েছে খুবই বেশি বেশি। সম্পর্ক দৈহিক টানে মোড় নিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটে গেল সব।

পরিচয়ের শুরুর দিন থেকেই দুজনই মোবাইলে রাত জেগে কথা বলে। কথা শেষে রোমান্টিক মেজাজে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতিটি রাতের কথাবার্তাতেই তাদের রোমান্টিকতা আরো গভীরতায় যায়। সম্পর্কের পাঁচদিনের মাথায় ইমন যতটা না লাজুক সাবরিনা ঠিক ততটা খোলাশা। হতেই পারে।

তবে এই খোলাশা মনোভাবের কারণটা রহস্যময়। যা দুইদিন পরই প্রকাশ্যে আসে। এরকমই সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে চলা অবস্থাচিত্র। ইমনও পরিচয়ের পর থেকেই সাবরিনার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া শুরু করে। বয়সের প্রথম প্রেম হলে বুঝি এমনটা হয়। প্রেম শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনে ইমন কিছুক্ষণ সাবরিনার মোবাইল ব্যস্ত পায়।

মিনিট দশেক পরে ফোন দিলে রিসিভ করে সাবরিনা। ব্যস্ততার কারণ হিসেবে তার বান্ধবী তার কাছে ক্লাশের নোটের ব্যাপারে ফোন করেছে বলে জানায়। ১৫-২০ মিনিট অন্তর অন্তর লাইন কেটে যায় বা বিভিন্ন ব্যস্ততায় অজুহাতে মোবাইল বন্ধ রাখে সাবরিনা। ইমনের মোবাইলে আবার মিসড কল আসে। সাবরিনা রিসিভ করে কারণ জানায়। ইমনও কারণ জেনে আশ্বস্ত হয়।

এটা প্রতিদিনের রুটিন। সাবরিনার প্রেমে অন্ধভাবে মজে গেল ইমন। ষষ্ঠ রাতে ইমনের সঙ্গে অন্যরকম ঘনিষ্ঠতায় কথা বলতে শুরু করলো সাবরিনা। ইমনের মন মেজাজে ঝিম ধরানো হর্ষআবেগ চিলিক দিয়ে উঠলো। মনে বাসনা-কামনাও ভর করে ফেললো। সাবরিনা নানা রকম উষ্ণ হর্ষ-রসাত্মক কথা বলে ইমনের মনটাকে আনচান করে ফেললো।

যা বলবে তাতেই ইমন রাজি। এ মুহূর্তে সাবরিনা ভালোবাসার চেয়েও বেশিকিছু। সব মেয়েই ভালোবাসে তবে সাবরিনার মতো করে কেউ এতো কাছ থেকে ভালোবাসা দিতে চায় না। সাবরিনার মনোভাবটা ইমনের কাছে ওরকমই। তাকে কাছে পেতে ইমনের পাগলপ্রায় অবস্থা। ৭ম রাতে দ্বিপ্রহরে সাবরিনার হর্ষ কথার উষ্ণতায় ইমন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না।

নিজেই সাবরিনার জালে ধরা দিলো। শনিবার দুজন দেখা করবে বলে কথা হলো। দেখা করার স্থান সাবরিনাই ঠিক করলো। ইমনের তর কিছুতেই সইছে না। সাতদিনের উষ্ণ কথামাখা ভালোবাসার জেরে চরম পরিতৃপ্ত হওয়ার বাসনায় শনিবার সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠলো সে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী গোসল করে সর্বাঙ্গে আলো ফুটিয়ে তুললো।

নাস্তা শেষে দাঁত ব্রাশ শেষে সাবরিনাকে ফোন করলো। তারপর সাবরিনার বলা কথা অনুযায়ী ওই স্থানে চলে গেল। তারা গমমণ্ডি লেকে দুপুরে থেকে শুরু করে অনেকটা সময় কাটাল। আশপাশের একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেল। বিকেলের দিকে ইমনকে সাথে করে সাবরিনা একটি বাসায় গেল।

ওই বাসায় ঢুকার ঘণ্টা পর কয়েকজন যুবকও আচমকা সেখানে গেল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আটক করলো। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ইমনকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। সম্ভ্রান্ত ঘরের সন্তান ইমন ছাত্র এখনো। আটক করা ওই যুবকদের চাপে ইমন বাসায় ফোন করতে বাধ্য হলো। বাবা-মা বিষয়-পরিস্থিতি জানলো। সম্মান রক্ষায় তিন লাখ টাকার পণে ছেলেকে মুক্ত করলো।

ঘটনার কয়েক মাস পর পুলিশ একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পেল। যে চক্রে একাধিক মেয়ে সদস্যও রয়েছে। যারা ছেলেদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। ধরা পড়লো সাবরিনা। পুলিশের জেরায় জানা গেলে ইমনের সেই ভালোবাসার গল্পও। (সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কাল্পনিক গল্প)