মঙ্গলবার, ৬ই জুন, ২০১৭ ইং ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীর হাতে হাতকড়া!

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৯, ২০১৭
news-image

---

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়া এক ছাত্রকে হাতকড়া পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় রোববার বেলা ১২ টার দিকে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীর হাতে হাতকড়া পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

অসুস্থ নাজমুল হোসাইন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

চিকিৎসার সময় নাজমুলের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ তলায় ৫০৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমুলকে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গ্রেফতারকৃত অন্য ৪১ শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজমুল। রাত ৮টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এরই মধ্যে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল ছাড়ার নির্দেশ ও ৪২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা করে।

এর পরেই আশুলিয়া পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম মেডিক্যালে পৌঁছায়। নাজমুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশি প্রহরায় এনাম মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত আড়াইটার দিকে বেডে শোয়া অবস্থায় হাতকড়া পরান আশুলিয়া পুলিশের এক সদস্য।

এ সময় নাজমুলের পায়েও বেড়ি লাগানোর চেষ্টা করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির জানান, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। তাদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

অসুস্থ শিক্ষার্থীর হাতে হাতকড়া পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’