সোমবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ৭ই ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আজই ত্যাগ করুন ১০ অভ্যাস

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন কিছু মন্দ অভ্যাস রয়েছে, যাকে আপনি তুচ্ছ মনে করতে পারেন এবং এসব অভ্যাস পরবর্তীতে আপনাকে চরমভাবে ভোগাতে পারে। আপনার কি এ প্রতিবেদনে উল্লেখিত মন্দ অভ্যাসের যেকোনো একটি আছে? তাহলে তা আজই ছাড়ুন।

* প্রস্রাব ধরে রাখা

যখন আপনার প্রস্রাবের বেগ আসবে, আপনার বাথরুমে যাওয়া উচিত। এটি দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস হেলথ সায়েন্স সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত ম্যাকগভর্ন মেডিক্যাল স্কুলের ফ্যামিলি অ্যান্ড কমিউনিটি মেডিসিনের সহ-সভাপতি এবং মেডিক্যাল ডাক্তার গ্র্যান্ট ফাউলার বলেন, ‘প্রস্রাব হচ্ছে নদীর মতো। যদি আপনি এটি ধরে রাখেন, প্রবাহ স্থির হয়ে যাবে ও মূত্রাশয়ে ব্যাকটেরিয়া বিকাশের সুযোগ পাবে এবং প্রস্রাব উজানমুখী হয়ে কিডনিতে ফিরে যেতে পারে। তাই ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে প্রস্রাবের প্রবাহ অব্যাহত রাখুন।’ মন্টেফিওর মেডিক্যাল গ্রুপের মেডিক্যাল পরিচালক আসিফ আনসারি বলেন, ‘প্রস্রাব ধরে রাখা আপনাকে ব্লাডার, কিডনি এবং প্রোস্টেট ইনফেকশনের ঝুঁকিতে রাখতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ইউরোলজিক্যাল সমস্যা থাকে অথবা প্রেগন্যান্ট হন। এছাড়া কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা প্রস্রাব প্রকৃতপক্ষে আপনার মূত্রাশয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, এ অবস্থাকে বলে ইনফ্রিকোয়েন্ট ভয়েডার্স সিন্ড্রোম।’ যদি আপনার দিনে চার থেকে সাত বার প্রস্রাবের বেগ না আসে, আপনি সম্ভবত পর্যাপ্ত পানি পান করেন না এবং ডিহাইড্রেটেড হতে পারেন।

* সবসময় চুইংগাম চিবানো

আপনি মনে করতে পারেন যে, চুইংগাম আপনাকে নির্মল শ্বাসে সাহায্য করে অথবা টেনশন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি আপনি সারাক্ষণ চুইংগাম চিবান, এটি আপনার চোয়ালে অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করবে। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ স্কুল অব দ্য হেলথ সায়েন্সেসের ডিপার্টমেন্ট অব ফ্যামিলি মেডিসিনের সভাপতি ও মেডিক্যাল ডাক্তার জিনেট সাউথ-পল বলেন, ‘চোয়ালের উপরে অবস্থিত টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট হচ্ছে সিনোভিয়াল জয়েন্ট- হাঁটুর সিনোভিয়াল জয়েন্টের মতো। যদি আপনি এসব জয়েন্ট অত্যধিক ব্যবহার করেন, আপনার আর্থ্রাইটিস, ক্লিকিং এবং পেইন ডেভেলপ হতে পারে।

* নখ কামড়ানো

একটি অস্বাস্থ্যকর স্নায়বিক অভ্যাস হচ্ছে নখ কামড়ানো। ডা. আনসারি বলেন, ‘নখ কামড়ানোর ফলে আপনার নখ ড্যামেজ হতে পারে এবং নখের পার্শ্ববর্তী ত্বকে প্যারোনিচিয়া নামক ইনফেকশন হতে পারে।’ ছড়ানো জীবাণু অন্যভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে। ডা. আনসারি বলেন, ‘এ অভ্যাস শরীরের ভেতর ভাইরাস চালান করতে পারে, যার ফলে আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশন এবং অন্যান্য ইনফেকশন হতে পারে।’ ডা. ফাউলারের মতে, নখ কামড়ানোর ফলে আপনার দাঁত ড্যামেজ হতে পারে অথবা ফাটল বা ক্র্যাক হতে পারে। নখ কামড়ানোর সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক রয়েছে। ডা. ফাউলার বলেন, ‘নখ কামড়ানো সাধারণত একটি অবচেতন অভ্যাস যা উদ্বেগের কারণে হয়ে থাকে। কি আপনাকে এত উদ্বিগ্ন করছে? উদ্বেগ নিজে নিজে মারাত্মক নাও হতে পারে, কিন্তু এটি আপনার কোয়ালিটি অব লাইফকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’ কানাডার একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, একঘেয়েমি ও নৈরাশার কারণেও কোনো মানুষ নখ কামড়াতে পারে।

* ব্রাশ বা ফ্লস না করা

আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং দাঁতের যত্ন না নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, ঠিক তো? ব্রাশ অথবা ফ্লস না করা যে আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর তা আপনি চিন্তাও করেন না। ডা. ফাউলার বলেন, ‘দাঁত ব্রাশ বা ফ্লস না করা হচ্ছে দাঁত ক্ষয়ের সর্বাধিক ঝুঁকি। ত্রুটিপূর্ণ ডেন্টিশন হচ্ছে বড় ধরনের ইনফেকশন ও পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিপূর্ণ কারণ, বিশেষ করে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে, এছাড়া কার্ডিওভাস্কুলার ও অন্যান্য রোগ হতে পারে।’ হৃদরোগের সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ ডেন্টিশনের সম্পর্ক এখনো স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি, কিন্তু গবেষণায় একটি সংযোগ পাওয়া গেছে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে থিওরিটি হচ্ছে, মুখের ব্যাকটেরিয়া রক্তপ্রবাহে চলাচল করতে পারে, যা রক্তনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি এড়াতে দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ ও একবার ফ্লস করুন এবং নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান। এ প্রসঙ্গে ডা. সাউথ-পল বলেন, ‘এই রুটিন মেনে না চললে ক্যাভিটি ও জিনজিভাইটিস (মাড়ির ইনফেকশন ও প্রদাহ) হতে পারে যা অল্প বয়সে দাঁত হারানোর মুখ্য কারণ।’

* সারাদিন কম্পিউটারের দিকে তাকানো

আমেরিকান অপটোমেট্রিক্স অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, ‘আমেরিকান কর্মীরা গড়ে সাত ঘণ্টা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে, যার ফলে কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম হতে পারে।’ ডা. আনসারি বলেন, ‘দীর্ঘসময় কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকানো দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে আই স্ট্রেইন ও রেটিনাল ড্যামেজ অন্তর্ভুক্ত।’ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুসারে, ‘গত ৩০ বছরে ক্ষীণদৃষ্টি বা মায়োপিক ৬৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সম্ভবত স্ক্রিনের দিকে তাকানোর ফলে হয়েছে।’ ডা. আনসারি ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি ২০ মিনিটে ২০ ফুট দূরের জিনিসের দিকে তাকানোর জন্য ২০ সেকেন্ডের ব্রেক নিন। এটি আপনার চোখের ওপর স্ট্রেইন বা চাপ কমাবে এবং চোখের পলক ফেলাও বৃদ্ধি করবে- যা চোখের শুষ্কতা ও জ্বালাতন উপশম করতে পারে। এছাড়া উজ্জ্বল স্ক্রিনের (ফোন ও ট্যাবলেটও এর অন্তর্ভুক্ত) দিকে তাকানোও কোয়ালিটি অব স্লিপ হ্রাস করে, তাই বিছানায় যাওয়ার পূর্বে ফোনের ব্যবহার এড়িয়ে যেতে পারেন।’

* দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা

স্ক্রিনের দিকে তাকানোর পাশাপাশি সাধারণত সারাদিন বসে থাকাও আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রনিক বিহেভিয়ার হিসেবে বসে থাকা সিডেন্টারি লাইফস্টাইল বা নিষ্ক্রিয় জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঝুঁকিসমূহ যেমন- ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের দিকে চালিত করে। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে যে, পা-কে ক্রস বানিয়ে বসে থাকার ফলে রক্তচাপের যে বৃদ্ধি বা অসাড়তা হয় তা স্বল্পস্থায়ী এবং প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদেী খারাপ প্রভাব ফেলে না। ডা. ফাউলার বলেন, ‘পা-কে ক্রস বানানো রক্ত জমাটবদ্ধতা সৃষ্টি করে না, কিন্তু এক্ষেত্রে তারা ব্যতিক্রম যাদের আর্থ্রাইটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে বা যারা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়।’ ডা. আনসারি বলেন, ‘অধিকাংশ খারাপ প্রতিক্রিয়ার উদ্ভব হয় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পরপর হাঁটা আপনাকে এসব খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষায় সাহায্য করতে পারে। যখন আপনি বসবেন, সঠিক ভঙ্গিতে বসা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনার কাঁধ বা পিঠ ব্যথা না হয়। পিঠ সোজা রেখে বসেছেন কিনা নিশ্চিত হোন। এ প্রসঙ্গে ডা. আনসারি বলেন, ‘এটি পিঠের পেশীর টান উপশমে সাহায্য করবে। আপনার হাঁটু ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে এবং চরণ ফ্লোরের ওপর সমতলে থাকা উচিত।’

* ঝুঁকে বসা

আপনি দাঁড়িয়ে থাকুন কিংবা বসে থাকুন, প্রকৃতপক্ষে স্লাউচিং (মাথা নত করে দাঁড়ানো বা বসা) আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ডা. ফাউলার বলেন, ‘যদি আপনি মাথা নত করেন বা ঝুঁকেন, আপনার ঘাড়ে প্রচুর চাপ পড়ে, কারণ আমাদের মাথা শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় খুব ভারী। এর ফলে আপনার টেনশন হেডেক হতে পারে।’ স্লাউচিং বা মাথা নত করা বা ঝোঁকা আপনার পিঠের জন্যও ক্ষতিকর। এ প্রসঙ্গে ডা. ফাউলার বলেন, ‘এটি ডিস্ক ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, যে কারণে ব্যথা হয় ও স্নায়ুতে চাপ পড়ে।’ সোজা হয়ে না বসা কিছু অপ্রত্যাশিত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। ডা. আনসারি বলেন, ‘ত্রুটিপূর্ণ বসার ভঙ্গি পেটে অস্বস্তি ও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যা ডাইজেশন বা পরিপাকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য।’ এরকম হয়ে থাকে, কারণ আপনার অন্ত্র সংকুচিত হয়, যা ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্টের মাধ্যমে খাবার পুশ করতে অন্ত্রের সামর্থ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। ডা. আনসারি বলেন, ‘এছাড়াও স্লাউচিং আপনার ফুসফুসে বাতাস গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করতে পারে।’ কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ত্রুটিপূর্ণ ভঙ্গি ডিপরেশনে ভোগার কারণ হতে পারে।

* এক কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করা

এক কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডা. সাউথ-পল বলেন, ‘যখন আপনি একপাশে ভারী ব্যাগ বহন করেন, তখন আপনার ঘাড়ের অ্যাঙ্গেলকে ডিস্টার্ব করেন।’ এটি ঘাড়ের কশেরুকার স্নায়ুতে প্রেসার সৃষ্টি করে এবং বাহুতে সেনসেশন সরবরাহ করে। যদি স্নায়ুতে চাপ পড়ে, কেউ অসাড়তা, রণন এবং ব্যথা অনুভব করতে পারে। আমেরিকান কাইরোপ্র্যাক্টিক অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, ‘আপনার ব্যাগের ওজন আপনার শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।’ নেতিবাচক প্রভাব আরো বেড়ে যাবে যদি সবসময় শরীরের একপাশে ব্যাগ বহন করেন, তাই এ অভ্যাস ছাড়ুন। ব্যাগ বহনের সময় ফোন ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে আপনার অ্যালাইনমেন্ট আরো বেশি বিঘ্নিত হবে।

* ভুল জুতা পরা

এটি সম্ভবত হাই হিল পরায় অভ্যস্ত নারীদের জন্য সুখবর নয়: হাই হিল আপনার পায়ের ক্ষতি করে এবং পুরো শরীর এই প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে। ডা. সাউথ-পল বলেন, ‘আপনার জুতা চরণ, হাঁটু, নিতম্ব ও পিঠের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। আমাদেরকে হাই হিল পরার মতো করে সৃষ্টি করা হয়নি। হাই হিল পরা নারীদের বানিয়ন (পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের প্রথম জয়েন্টে ফোলা) হতে পারে এবং অ্যাকিলিস টেন্ডন টাইট হওয়াসহ অন্যান্য সমস্য হতে পারে।’ কিন্তু শুধুমাত্র হাই হিলই দুর্দশা ডেকে আনে না, ফ্লিপ-ফ্লপ ও অন্যান্য সাপোর্টবিহীন জুতাও আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। অবার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, ফ্লিপ-ফ্লপ পরা প্রকৃতপক্ষে আপনার হাঁটার ধরন পরিবর্তন করতে পারে, যা আপনার চরণ থেকে নিতম্ব পর্যন্ত এবং পিঠের নিম্নভাগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিশ্চিত হোন যে জুতায় চরণ ও গোড়ালি যথার্থভাবে সাপোর্ট পেয়েছে। ওয়ার্ক আউটের সময় অত্যধিক ব্যবহৃত জুতা পরবেন না। ডা. সাউথ-পল বলেন, ‘যদি আপনি রানার হন, আপনি সিস্টেম্যাটিক্যালি আপনার সাপোর্ট আপনার জুতার মধ্যে রাখেন। আমরা মনে করি ৩০০ মাইলের মতো পথ পাড়ি দিয়ে জুতা পরিবর্তন করা ভালো, কারণ জুতা ছিঁড়ে না গেলেও আপনার পা-কে রক্ষা করার মতো প্রয়োজনীয় সাপোর্ট জুতার সোলের থাকবে না, যার ফলে পায়ের হাড়ে ব্যথা ও স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হতে পারে।’

* শরীরের সব জায়গায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ না করা

আপনি সানব্লক বা সানস্ক্রিনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, এটি দ্রুত প্রয়োগ করা হয় বলে ত্বকের কিছু অংশ বাদ পড়ে যেতে পারে। যেসব স্পটে সানস্ক্রিন লেপন মিসিং হতে পারে সেসবের মধ্যে মুখ, কাঁধ, হাত, চরণ এবং হাত ও পায়ের নেইল বেড উল্লেখযোগ্য। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক অনুসারে, স্কিন ক্যানসার হওয়ার ক্ষেত্রে কান হচ্ছে তৃতীয় সর্বাধিক কমন স্থান। তাই কানে সানস্ক্রিন লেপন নিশ্চিত করুন। সানস্ক্রিন লেপন মিসিং হতে পারে এমন অন্যান্য স্পট হচ্ছে স্কাল্প (এমনকি চুল থাকলেও), চোখের পাতা, ঠোঁট, ঘাড় ও বগল। এছাড়া সানস্ক্রিন পুনঃপ্রয়োগ করা প্রয়োজন হবে, যা আপনি আনন্দ উল্লাস করার সময় ভুলে যেতে পারেন, যেমন- সাঁতার কাটার পর সানস্ক্রিন মাখার কথা ভুলে যাওয়া। আপনার ত্বক যে সূর্যরশ্মি শোষণ করে তার কথা কখনো ভুলে না, তাই সবসময় প্রোটেকশন প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

Print Friendly, PDF & Email